জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ গাজার চারদিকে আইন বহির্ভূত সর্বশেষ সহিংসতা এবং ফিলিস্তিন ভূখন্ড এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরে ‘পদ্ধতিগত’ অপব্যবহারের ব্যাপারে সার্বিক আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। খবর এএফপি’র।
মধ্যপ্রাচ্যে দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাতের ‘মূল কারণ’ উদঘাটনে এবং অপব্যবহারের বিষয়ে সুবিবেচনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবটি একটি নজিরবিহীন উৎসাহব্যঞ্জক হবে। পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে ২৪ টি দেশ সমর্থন জানানোয় এটি পাশ হয়।
এ মাসে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভয়াবহ সহিংসতা বেড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পরিষদের এক দিনের বিশেষ অধিবেশন চলাকালে প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার পক্ষে পাকিস্তান এটি উপস্থাপন করে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট গাজায় বিভিন্ন হামলায় বহু সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ ভূখন্ডে ইসরাইলের বিভিন্ন হামলা ‘যুদ্ধাপরাধের সামিল হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ইসরাইলে হামাসের ‘নির্বিচার’ রকেট হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন ভূখন্ডে এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক আইনের অপব্যবহার তদন্তের ব্যাপারে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের গ্রহণ করা সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে অভিহিত করে বৃহস্পতিবার এর নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিন এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।