ইন্দোনেশিয়া কোভিড-১৯ রোগীর ব্যাপক চাপ থাকা হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহে সোমবার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টির পর এ আহ্বান জানানো হলো। খবর এএফপি’র।
সিনিয়র মন্ত্রী লুহাত বিনসার পন্দজাইতান বলেন, দ্রুত সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়া চরম সংকটের মুখে পড়ায় অক্সিজেন উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাসপাতাল খাতে তাদের মজুত বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট অক্সিজেন সরবরাহ রয়েছে। তবে চাহিদা তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিতরণ ব্যবস্থা অনেকটা বিকল হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের অক্সিজেন উৎপাদনকারী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা তাদের উৎপাদনের শত ভাগ অক্সিজেন স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কষাঘাতে বিপর্যস্ত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশ তাদের নিজের দেশের অক্সিজেন সরবরাহ ফুরিয়ে গেলে চাহিদা মেটাতে তা আমদানি করা হতে পারে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি স্টীল ও খনিজ শিল্প-কারাখানা মিনারেল সমৃদ্ধ ইন্দোনেশিয়ার অক্সিজেনের প্রধান ক্রেতা।
ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেনের ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় জাকার্তার কেন্দ্রস্থলে জরুরি রিফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে বানদুং নগরীতে যেসব বাসা-বাড়িতে করোনা রোগী আইসোলেশনে রয়েছে সেখানে রিক্সা চালকরা অক্সিজেন ট্যাঙ্ক পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে।
সোমবার ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে ২৯ হাজার ৭৪৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। দেশটিতে এক দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় ক্ষেত্রে এটি নতুন রেকর্ড। সরকার গত সপ্তাহে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া রাজধানী জাকার্তার করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে ধরার ঘোষণা দেয়।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রে পরিণত হওয়া বিভিন্ন এলাকার মসজিদ, পার্ক, শপিং মল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন এ নিয়ম লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ক্যাফে ও বিনোদন কেন্দ্র খোলা রাখার দায়ে সোমবার জাকার্তায় অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।