আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতায় গত কয়েক দিনে মার্কিন সামরিক বাহিনী দেশটিতে তালেবানের অবস্থান লক্ষ্য করে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন একথা জানিয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। এর মধ্যেই এসব বিমান হামলা চালানো হলো।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে এএনডিএসএফ’কে (আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেস) সহযোগিতা করতে আমরা দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়েছি।’ তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে এ রকম হামলা চলবে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি এ বিমান হামলার বৈধতা দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’কে বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী বুধবার ও বৃহস্পতিবার আফগান বাহিনীকে সহযোগিতায় চার বারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান বাহিনীর কাছ থেকে তালেবানের দখলে নেয়া সামরিক সরঞ্জামাদি লক্ষ্য করে কম পক্ষে দুই দফা বিমান হামলা চালানো হয়। এছাড়া তালেবানের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে আরো কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে কমপক্ষে এক দফা বিমান হামলা চালানো হয়।
সংঘাতপূর্ণ এ দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় এবং মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হওয়ার মধ্যেই এসব বিমান হামলা চালানো হলো।
স্থানীয় সময় গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আফগান সরকারকে সহযোগিতা দেবে।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলে বলেন, তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের ৪১৯টি জেলা কেন্দ্র দখল কওে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মে মাস থেকেই তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।