ইসরাইলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ওমান উপকূলে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। যদিও ইরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে ওয়াশিংটন এর যথাযথ জবাব দেয়ারও অঙ্গীকার করেছে। গত বৃহস্পতিবার ওমান উপকূলে ইসরাইল পরিচালিত এমভি মার্সার স্ট্রিট জাহাজে হামলা হয়। হামলায় জাহাজটির দুই নাবিকের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া নাবিকদের একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, অপরজন রোমানিয়ার।
এ হামলার জন্য ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ইরানকে দায়ী করলে তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করার পর রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এক বিবৃতিতে একই অভিযোগ করে। এদিকে এটিকে ড্রোন হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জাহাজটির পরিচালক জোডিয়াক ম্যারিটাইম। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়ার লেপিড শুক্রবার বলেছেন, ইরানী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপের জন্য তিনি তার কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সায়িদ খতিবজাদে বলেছেন, ইসরাইলকে অবশ্যই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ বন্ধ করতে হবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য জাহাজে হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, লন্ডন মনে করে, এ হামলা চালাতে এক বা একাধিক ড্রোন ব্যবহার করেছে ইরান। তিনি বলেন, ইরানকে অবশ্যই এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ইরান এ হামলা চালিয়েছে -ওয়াশিংটন এ বিষয়ে নিশ্চিত।
এ হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।