বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সাথে করা ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে তেহরান প্রস্তুত।
একজন ইইউ কর্মকর্তা শনিবার এ খবর জানান।
ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি। তার অধীনেই ভিয়েনায় সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে আলোচনা পুনরায় শুরু হতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ’র সিনিয়র ওই কর্মকর্তা আরো জানান, চুক্তি বিষয়ক আলোচনার ইইউ’র আলোচক এনরিক মোরা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইরানী প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি পরমাণু আলোচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইরানী কর্মকর্তা হোসেইন আমির আবদুল্লাহির সাথে কথা বলেন।
তিনি নতুন মন্ত্রিপরিষদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বলেও ইইউ কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য কট্টরপন্থী হিসেবে বিবেচিত ইব্রাহিম রাইসির পূর্বসুরি মধ্যপন্থী হাসান রুহানির দু’দফা মেয়াদকালে ২০১৫ বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সাথে ঐতিহাসিক এই পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা।
কিন্তু পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। ইরানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চুক্তির শর্ত ভেঙে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরনের কাজ বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর এপ্রিলে ভিয়েনায় পরমাণু চুক্তির পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
ভিয়েনায় শেষ দফায় গত ২০ জুন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তবে নতুন করে আলোচনার কোন দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
এ প্রেক্ষিতে ইইউ কর্মকর্তা জানান, ইরান শিগগীরই ভিয়েনায় আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। কেবল আলোচনা নয়, তারা এ সংক্রান্ত চুক্তিও সম্পন্ন করতে চায়।