ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-০৮
  • ৬৬১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই মেয়ের সঙ্গে মা জাপানি নারী নাকানো এরিকোর রাত কাটানো ও তাদের নিয়ে বাসার বাইরে বেড়াতে যাওয়া বিষয়ে সুযোগ দিয়ে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, শিশুদের বাবা যদি মনে করেন, তিনিও কয়েক ঘণ্টার জন্য তাদের নিয়ে বাইরে বেড়াতে যেতে পারবেন।
আদালত বলেন, আজ ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাবা শিশুদের সঙ্গে থাকতে পারবেন। তবে ৯, ১১, ১৩ ও ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে শিশুরা মায়ের সঙ্গে থাকবে। এক দিন পরপর দেয়া হলো। এ সময় ওই বাসায় দিনে শিশুদের বাবা থাকবেন। মা যদি শিশুদের নিয়ে বেড়াতে যেতে চান, তা পারবেন। শিশুদের বাবা মনে করলে তিনিও দু–এক ঘণ্টার জন্য তাদের নিয়ে বাইরে বেড়াতে যেতে পারবেন।
গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পরদিন ১ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন জাপান থেকে আসা ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশু। শিশুদের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ওই বাসায় তাদের রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আদেশে আরো বলা হয়, শিশুদের বাবা ও মা যৌথভাবে আপাতত তাদের দেখাশোনা করতে পারবেন। ওই ফ্ল্যাটের ব্যয় মা-বাবা সমান হারে বহন করবেন। শিশুদের বাবা ও মায়ের ওই বাসায় অবস্থান করার স্বাধীনতা থাকবে। শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা ও মা একান্তে সময় কাটাবেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারক করবেন। শিশুদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন। শিশু ও তাদের মা-বাবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে ওই আদেশ সংশোধন চেয়ে শিশুদের মা এরিকো ৬ সেপ্টেম্বর আবেদন দাখিল করেন। এতে শিশুদের সঙ্গে তাদের বাবা ইমরান শরীফের সময় কাটানোর তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণের জন্য ইমরান শরীফ কর্তৃক বাসায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা অপসারণ, বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে তাঁর (এরিকো) বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণে বিটিআরসির চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা, ভিডিও তৈরি ও আপলোডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ আদেশ দেন আদালত। আদালতে শিশুদের মায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শিশুদের বাবার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশে  বিভিন্ন অনলাইন ও প্ল্যাটফর্মে এরিকোর বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণে পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বলা হয়। ইমরান শরীফের ক্ষেত্রে অবমাননাকর ভিডিও থাকলে তাও সরাতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এসব ভিডিও তৈরি ও আপলোডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ঘরের বাইরে দিকে থাকবে বলে বলা হয় ।
২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফের বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়েসস্তান আছে। শিশুদের বয়স যথাক্রমে ১১, ১০ ও ৭ বছর। গত ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। পরবর্তী সময়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। আর ছোট মেয়েকে তার নানির কাছে রেখে গত ১৮ জুলাই শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন এরিকো।
ইমরানের কাছ থেকে ১০ ও ১১ বছর বয়সী দুই মেয়েশিশুকে ফিরে পেতে বাংলাদেশে এসে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন এরিকো। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দুই শিশুকে ৩১ আগস্ট আদালতে হাজির করতে তাদের বাবা ও ফুফুকে নির্দেশ দেন আদালত। শিশুদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গুলশান ও আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন আদালত।  এর আগে ২২ আগস্ট রাতে বাবার কাছ থেকে ওই দুই শিশুকে নিয়ে আসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ অবস্থায় ২৩ আগস্ট শিশুদের ফিরে পেতে আদালতে আবেদন করেন শিশুদের বাবাও। ওইদিন হাইকোর্ট দুই শিশুসন্তানকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে (উইমেন সাপোর্ট সেন্টার) রাখতে আদেশ দেন। তখন আদালত বলা হয়, এ সময়ে সকালে মা ও বিকেলে বাবা তাঁদের মেয়েদের সঙ্গে দেখা করা ও সময় কাটাতে পারবেন।
আদেশ অনুসারে ধার্য তারিখ ৩১ আগস্ট উইমেন সাপোর্ট সেন্টার থেকে সিআইডির তত্ত্বাবধানে দুই শিশু আদালতে উপস্থিত হয়। আদালতে উপস্থিত হন তাদের বাবা ইমরান ও মা এরিকো। খাসকামরায় দুই শিশুসহ তাদের স্বজনদের বক্তব্য শোনেন আদালত। শিশুদের মা-বাবার বক্তব্যও শোনেন। সব পক্ষের শুনানি ও শিশু এবং তাদের স্বজনদের বক্তব্য নিয়ে গুলশানের ফ্ল্যাটে শিশুদের রাখা সংক্রান্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat