আফগানিস্তানে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরছে। কিন্তু সেখানে মেয়ে শিক্ষার্থীরা থাকবে না।
নতুন তালেবান শাসকরা বলেছে, কেবলমাত্র ছেলে শিক্ষার্থী এবং পুরুষ শিক্ষকরাই ক্লাসরুমে ফিরতে পারবে।
গতমাসে মার্কিন সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে কট্টরপন্থী তালেবানরা সরকার গঠন করে। নব্বইয়ের দশকে তাদের তৎকালীন কট্টর শাসন থেকে এবারে তারা সরে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওই সময়ে নারীদের শিক্ষা ও কর্মের ওপর তালেবান নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
কিন্তু শনিবার এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সকল পুরুষ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফেরা উচিত।
বিবৃতিতে কোথাও নারী শিক্ষক ও ছাত্রীদের কথা উল্লেখ নেই।
মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণত ১৩ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে। কভিড-১৯ এর কারণে এমনিতেই বার বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে। তালেবানরা শাসন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোই বন্ধ রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। সেখানে ছেলে ও মেয়ে আলাদাভাবে ক্লাস করছে। কিছু নারী শিক্ষকও কাজে যোগ দিয়েছেন।
কঠোর শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে দেশটিতে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিতে চাইছে তালেবানরা। এ মন্ত্রণালয়কে নীতি নৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পরিনত করার চেষ্টা চলছে।
নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম ফলক মুছে ফেলে বসানো হয়েছে নীতি নৈতিকতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফলক।