মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অষ্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের নেতারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ্বতা এবং গণতন্ত্রের জন্যে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
হোয়াইট হাউসে শুক্রবার কোয়াডের চার সদস্য দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা এ অঙ্গীকার করেন। এ সময় কোয়াড নেতারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্র স্থিতিশীল রাখার ওপরও জোর দেন।
এবারই প্রথম বারের মতো সশরীরে কোয়াডের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হলো। বৈঠকে চার দেশের নেতারা করোনার টিকা, আঞ্চলিক অবকাঠামো, জলবায়ু পরিবর্তন ও কম্পিউটার প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
চীনের উত্থানের প্রেক্ষাপটে এ অঞ্চলে মার্কিন নেতৃত্ব পাকাপোক্ত করার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে বাইডেন বলেন, ‘কোয়াডভুক্ত চার প্রধান গণতান্ত্রিক দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে। আমরা জানি কীভাবে কোনো কিছুর সমাধান করতে হয়। আর আমরা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।’
বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘আমরা উদারপন্থী গণতান্ত্রিক দেশগুলো স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চাই। কারণ, মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশেই শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে উঠতে পারে।’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সংহতি শক্তিশালী হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, কোয়াডকে চীন বিরোধী জোট হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বেইজিং একে তাদের আধিপত্য ঠেকাতে মার্কিনীদের নতুন ষডযন্ত্র হিসেবে দেখছে ।