ব্রেকিং নিউজ :
খাগড়াছড়িতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ বিতরণ বশেমুরবিপ্রবি’তে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ ও সরকারের অর্জিত সাফল্য নিয়ে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বিশ্ব কবি ও বিদ্রোহী কবির জন্মদিনের প্রস্তুতি সভা নাগরিকতা সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ড (সিইএফ)-এর উদ্বোধন হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও গাজা,ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে : স্পিকার
  • প্রকাশিত : ২০২১-১০-২৪
  • ৪৮৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি কুমিল্লা ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রেক্ষাপটে রাজধানী ঢাকায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। 
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আজ রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকায় যেন এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে সেদিকে সবাইকে আরও বেশি তৎপর থাকতে হবে, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে, গোয়েন্দা নজরদারী বাড়াতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী বাড়ানোর জন্য ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
কমিশনার বলেন,‘দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়, সকল সম্প্রদায়ের লোকজন অংশগ্রহণ করছে। জোনাল ডিসিরাও সে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান করে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ইতিমধ্যে ঢাকার বড় বড় পূজামন্ডপ ও উপাসনালয়ে পুলিশের উপস্থিতি ও নজরদারী বাড়ানো হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁদের যেকোন প্রয়োজনে সর্বাত্মক সহায়তা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি’।
থানা পুলিশের সেবার মান উন্নয়নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘থানায় কেউ জিডি করতে আসলে পুলিশের কেউ টাকা দাবী করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন পুলিশ সদস্য দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। জানমাল বাজি রেখে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেন কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এসময় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১০টি বিভাগকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সেপ্টেম্বর মাসে ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেন (চকবাজার জোন)। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম এবং পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মুগদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) আশীষ কুমার দেব। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ ও মিরপুর মডেল থানার এসআই সারোয়ার জাহান। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও চকবাজার মডেল থানার এএসআই রুহুল আমিন। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার হয়েছেন খিলক্ষেত থানার এসআই মো. আবুল কালাম আজাদ। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শিহাব উদ্দিন। বিস্ফোরক উদ্ধারে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেন (চকবাজার জোন)। মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মুগদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) আশীষ কুমার দেব। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. আতাউল মাহমুদ খান।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব। চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মিরপুর জোনাল টিমের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মিরপুর জোনাল টিমের এডিসি মো. সাইফুল ইসলাম। জঙ্গি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিমের সম্মান অর্জন করেছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও  মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের এডিসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। অজ্ঞান-মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ধানমন্ডি জোনাল টিম।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারি পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওয়ারী ট্রাফিক জোনের টিআই গোলাম মাওলা কবির। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মো. মুহিবুল্লাহ, রামপুরা ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট মো. আব্দুল কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat