ব্রেকিং নিউজ :
ফেনীতে বন্দিদশা থেকে মুক্ত শতাধিক পাখি গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মতবিনিময় টাঙ্গাইলে ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ নাটোরে বর্ণিল পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বেরোবি’র মাধ্যমে আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর আলেম-ওলামাদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ২২ হাজার ৭০০ প্রবাসীর নিবন্ধন ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের- প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে: মৎস্য উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২১-১১-১০
  • ৬২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

জেল আপিল নিস্পত্তির পর ফাঁসি কার্যকর হওয়া চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আব্দুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়ুর করা নিয়মিত আপিল অকার্যকর ঘোষণা করে নিষ্পত্তি করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। 
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ আজ বুধবার এই আদেশ দেন। 
তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল যাতে না হয়, সে জন্য পূর্ণাঙ্গ রায়ে একটি গাইডলাইন থাকবে বলে জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
এর আগে গত সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। ‘আসামির আপিল নিষ্পত্তির চার বছর আগেই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে’ শিরোনামে গত ৩ নভেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনারও সৃষ্টি হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এটর্নি জেনারেল পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মোকিম ও ঝড়ুর ফাঁসি কার্যকরে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। কারা কর্তৃপক্ষও বলেছেন সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ অনুসরণ করে তাদের দন্ড কার্যকর হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী কোনো আসামির আপিল এবং জেল আপিল হয়ে থাকলে দু’টি এক সঙ্গে শুনানি হয়। তবে এ মামলায় জেল আপিল চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলেও অনিষ্পন্ন অবস্থায় থেকে যায় আসামিদের করা আপিল। ফাঁসি কার্যকরের চার বছর পর এই আপিল বিভাগের কার্য তালিকায় শুনানির জন্য আসে।
মামলা ও আদেশের বিষয়ে না জেনে ব্লেইম দেয়া কোর্টের জন্য বিব্রতকর উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ আদালতে বলেছেন, একটি ফাঁসি দেয়ার আগে আমরা ১০ বার চিন্তা করি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আসিফ হাসান আদালতকে বলেন, কোর্টকে ব্লেইম দেইনি। তবে আমাদেরও ভুল হতে পারে।
জেল আপিল খারিজ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুরের পরই ফাঁসি কার্যকর হয় আসামি মকিম-ঝড়ুর। তাদের নিয়মিত সেই আলোচিত আপিলটি অকার্যকর বলে তা আজ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। 
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মো. মনোয়ার হোসেন খুন হন। ওই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মো. অহিমউদ্দিন বাদী হয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল তিনজনকে মৃত্যুদন্ড, দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর আসামিদের খালাস দিয়ে রায় দেন চুয়াডাঙ্গার আদালত। রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন: আবুল কালাম আজাদ, মোকিম ও ঝড়ু। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও আসামিদের ডেথ রেফারেন্স শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে ২০১৩ সালের ৭ জুলাই ও ৮ জুলাই রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরে মোকিম ও ঝড়ু সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল ও জেল আপিল করেন। সম্প্রতি মোকিম ও ঝড়ুর আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। আজ বিষয়টি নিস্পত্তি হলো আপিল বিভাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat