ব্রেকিং নিউজ :
সাতক্ষীরায় রাসায়নিকে পাকানো চারশ’ কেজি আম জব্দ আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস দিনাজপুরে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইসতিকার নামাজ আদায় ময়মনসিংহের আলালপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুইজন নিহত সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২১-১২-১৩
  • ৩৪৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দিনে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন,  যাঁরা ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালে পাক হানাদারবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। তিনি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেন। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে চূড়ান্ত বিজয়। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার। তাঁদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সৃজনশীল কর্মকান্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত দেশের বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ প্রদানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিয্দ্ধুকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম এ হত্যাকান্ড ছিল জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাঙালি জাতি এখনও তার সূর্যসন্তানদের হারানোর শোক হৃদয়ে ধারণ করে চলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat