যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর কয়েকটি স্থানে বেপরোয়া গুলি বর্ষণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘঁনার চূড়ান্ত পর্যায়ে বন্দুকধারী নিজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার পুলিশ একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রথম গুলির ঘটনা ঘটে। এরপর ডেনভার ও লেকউড নগরীর কমপক্ষে চারটি আলাদা স্থানে বেপরোয়া বন্দুক হামলা চালানো হয়। এসব ঘঁনায় প্রাথমিকভাবে তিন-চার জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, ডেনভারে প্রথম স্থানে বন্দুক হামলায় দুইনারী নিহত ও এক ব্যক্তি আহত হন। অপর এক ব্যক্তি তার বাড়ির বাইরে গুলিতে প্রাণ হারান।
পরে ওই বন্দুকধারী পার্শ্ববতী লেকউড নগরীতে চলে যান। সেখানে তিনি লাকি-১৩ ট্যাটুপার্লারে অপর এক ব্যক্তিকে গুলিকওে হত্যা করেন। তার গুলিতে পার্লারের আরেক ব্যক্তি আহত হন।
পুলিশ জানায়, বন্দুক হামলাকারী এশটি শপিং সেন্টারে প্রবেশ করে সেখানে তিনি এক নারী কর্মচারিকে গুলি করে হত্যা করেন।
পরে, ওই শপিং সেন্টারে তিনি পুলিশের পাল্টা হামলার মুখে পড়েন। এ সময় পুলিশ তাকে অস্ত্র ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তা আহত হলেও ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হন।
লেকউড পুলিশ মুখপাত্র জনরমারো বলেন, ওই বন্দুকধারীকে ‘ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়।’
তিনি আরো জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তা এখন ভাল বোধ করছেন। তবে তার আবারো সার্জারির প্রয়োজন হবে।
পুলিশ জানায়, এ হামলার উদ্দেশ্য জানা যায়নি। তবে বন্দুক হামলার ধরন দেখে ধারণা করা হচ্ছে এ হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল সুনির্দিষ্ট মানুষ।
এ ঘনায় পুলিশ দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এমন বন্দুকহামলা একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।