ব্রেকিং নিউজ :
জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশন ডিসেম্বরের শুরুর দিকে রিপোর্ট চূড়ান্ত করবেন : ফলকার টুর্ক সায়েমা ওয়াজেদ ‘নিষ্ক্রিয়’ হওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সরাসরি কাজ করবে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ঢাকায় এসেছে থাইল্যান্ডের চিকিৎসকদল সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিনা লাভের দোকান চাঁদপুরের বীজ, সার ও নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২২-০২-১০
  • ১৯৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ২১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৮ মিলিয়ন ইউরো) তহবিল থেকে উপকৃত হতে চলেছে যা এসব অঞ্চলে জলবায়ূবান্ধব, অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
বৃহত্তম বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএফসি উদীয়মান বাজারগুলোর বেসরকারি খাতকে লক্ষ্য করে  দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ূবান্ধব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো (এসিএসআইআইএস) উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কর্মসূচির অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এসিএসআইআইএস হলো একটি পাঁচ বছর মেয়াদী কর্মসূচি (২০২১-২০২৬) যা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার জনগোষ্ঠী ও ব্যবসার সুবিধার জন্য শক্তি, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবহন, লজিস্টিক এবং সবুজ ভবন খাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করে। এসিএসআইআইএস এই অঞ্চলের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ থেকে ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিল ডলার লাভ করবে। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়। 
অবকাঠামোতে বিনিয়োগের উপর কোভিড-১৯-এর প্রভাব ব্যাপক এবং গুরুতর। ২০২০ সালে বেসরকারি অংশীদারিত্বের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি ২০১৯ সালের অবস্থান থেকে নজিরবিহীনভাবে ৫২ শতাংশ কমেছে। আইএফসি প্রাক্কলন করে দেখেছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে প্যারিস চুক্তির অধীনে জাতীয় লক্ষ্যগুলো সম্পূর্ণরূপে পূরণ কর্রে জলবায়ুবান্ধব বিনিয়োগ সুবিধার জন্য ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ছাড় করতে পারে। আইএফসি’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেক্টর গোমেজ অ্যাং বলেছেন, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ূবান্ধব অবকাঠামোর জন্য বেসরকারী বিনিয়োগ আকর্ষণ করা দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। তিনি বলেন, কর্মসূচির জন্য ইইউ-এর সমর্থনলাভে এখনকার মতো আর ভালো সময় হতে পারে না, কারণ টেকসই অবকাঠামো প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেয়ার পথ বাধামুক্ত করতে এখনই কাজ করা অত্যাবশ্যক। এই কর্মসূচির জন্য এ অঞ্চলের জলবায়ুবান্ধব  অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য আইএফসি তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগাবে।  
নগর, লিঙ্গ এবং সবুজ অর্থায়নের মতো মূল ভাবনাগুলোতে দৃষ্টি দেয়ার পাশাপাশি কর্মসূচিটি কৃষি, উৎপাদন, পর্যটন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় জলবায়ূবান্ধব বিনিয়োগের উন্নয়নে সহায়তা করবে। সাম্প্রতিক উদ্যোগটি ভারতে ইকো-সিটিস প্রোগ্রাম এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য কর্মসূচিগুলোকে সমর্থন করার জন্য ইইউ-এর সঙ্গে আইএফসি-এর পূর্ববর্তী অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
ভারত ও ভুটানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উগো আস্তুতো বলেন, এসিএসআইআইএস প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সবুজ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করবে। ভারতে বিদ্যমান ইইউ সহযোগিতাকে ইইউ গ্রিন ডিলের উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়ণযোগ্য জ¦ালানী রূপান্তরকে উন্নীত করার জন্য বহু-খাত সংযুক্তির সঙ্গে আঞ্চলিক প্রভাবে প্রসারিত হতে দেখে আমরা আনন্দিত। তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি টেকসই সংযোগে ইতিবাচক অবদান রাখবে, একটি সবুজ ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য মূল খাতে ইইউ’কে সংশ্লিষ্ট রাখতে সহায়তা যোগাবে। কর্মসূচিটি টেকসই অবকাঠামো প্রকল্পের নকশা, কাঠামো এবং বাস্তবায়নের ক্ষমতা উন্নত করতে  সরকারি এবং বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এই উপাদানগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে যা আইএফসি’র নিজস্ব ধারার কৌশল, যার লক্ষ্য হলো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাজার তৈরি করা এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর ভিত্তি তৈরি করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat