একটি গণমুখী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) তৈরির লক্ষ্যে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় ও পরামর্শক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাকে আরও কার্যকর করার উপায়সমূহ বিশ্লেষণ ও আলোচনা করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, ইউএনডিপি ও ন্যাপ প্রণয়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যাপ প্রনয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মিজানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
মোস্তফা কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, গণমুখী একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে টিম লিডারসহ ন্যাপ গঠনকারী দল দেশের উপকূলীয় ও পার্বত্য অঞ্চলের জনগণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন। ন্যাপ প্রণয়ন চূড়ান্ত করার পূর্ব পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মতামত বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়নন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (প.দূ.নি) কেয়া খান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা।
কর্মশালায় খসড়া অভিযোজন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, টিম লিডার, ন্যাপ প্রণয়ন টিম এবং মালিক ফিদা এ. খান, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস।