আসন্ন রমজান উপলক্ষে যশোরের ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ পরিবার পাচ্ছে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির মাধ্যমে চার প্রকার খাদ্যপণ্য পাবে এসব পরিবার। এসব পণ্য দিতে বাজার মূল্যে খরচ হবে ১২ কোটি ৯১ লাখ ৯২ হাজার ৬৬০ টাকা।
তবে, এই মূল্যে টিসিবি ভর্তুকি দিচ্ছে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৬৫০ টাকা। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করবে যশোর জেলা প্রশাসন। যাতে কোনো রকম অসুবিধা ছাড়াই সুবিধাভোগীদের কাছে ভর্তুকির এসব পণ্য পৌঁছায়, তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হচ্ছে।
টিসিবি থেকে প্রত্যেক পরিবারের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২টি প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটে থাকবে ৮ কেজি নিত্যপণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে থাকবে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি ছোলা। প্রতি পরিবার দুই দফায় সমপরিমাণের ২টি প্যাকেট পাবে। আর এই পণ্য দিতে টিসিবিকে ভর্তুকি দিতে হবে ৪ কোটি ৮১ লাখ তিন হাজার ৬৫০ টাকা। জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় টিসিবির ডিলাররা এসব পণ্য সরবরাহ করবেন।
পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নবিত্ত মানুষকে অর্থনৈতিক সাশ্রয় দিতে সরকার টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে সারাদেশে ১ কোটি পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবারহের উদ্যোগ নিয়েছে। এই তালিকায় জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯ পরিবার রয়েছে।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, ১৫ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে এক দফা এবং রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে আরেক দফায় এসব পণ্য দেয়া হতে পারে। যশোরে টিসিবির ৭৩ জন ডিলার রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে এসব পণ্য সরবরাহ করা হবে।
টিসিবি তেল ১১০ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও চিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করবে। সবমিলে প্রতি প্যাকেটে ক্রেতার সাশ্রয় হবে ৩৫০ টাকা। দুই দফায় একটি পরিবারে বাঁচবে ৭০০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে কেবলমাত্র যশোরে সয়াবিন তেলে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ২০, মসুর ডালে ৯৬ লাখ ২০ হাজার ৭৩০, চিনিতে ৮২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪০ ও ছোলায় ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। যা নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এক বিরাট সুযোগ।
ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বার ও পৌরসভায় কাউন্সিলররা সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করছেন। এই তালিকা অনুযায়ী প্যাকেট করবে জেলা প্রশাসন। প্যাকেট সম্পন্ন হওয়ার পর তা যাবে টিসিবি ডিলারদের হাতে। ডিলাররা জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী প্যাকেট পৌঁছে দিবেন সুবিধাভোগীদের কাছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, ‘যশোরে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৯টি প্যাকেট হবে। এ নিয়ে আরো সভা হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে কোন প্রক্রিয়ায় সুবিধাভোগীরা এসব প্যাকেট পাবেন।’