জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় নেপথ্য ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে অবিলম্বে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি।
নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আল-আমিন মৃদুলের পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এর আগে সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। সকালে নেতৃবৃন্দ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ করা হয়।
রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করে সংগঠনের উপদেষ্টা ও আইডিইবি’র ঢাকা জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খবির হোসেন। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বিগত ২০০৯ সালের নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। ১২ খুনীর মধ্যে কয়েক জনের রায় কার্যকর হয়েছে। বাঙালি জাতির মহান স্থপতি জাতির জনকের এই নৃশংস হত্যায় যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়নি। ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি।
তারা এ লক্ষ্যে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করে এর রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ এবং হত্যাকারীদের মতো তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত প্রায় একযুগেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে অবিলম্বে পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান তারা।