ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৩-২০
  • ৪০৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। অন্যদিকে, বিএনপি’র জন্ম হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে।
আজ রোববার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এ বিবৃতি প্রদান করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরক্ষা দিয়েছিল।
‘আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে যায় না’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের আড়ালে মুখোশধারী স্বৈরাচারদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যে কোন রাজনৈতিক দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন বিমুখ একটি দল কিভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক চর্চায় সর্বদাই বিএনপির এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এমনকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মহান জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপি দ্বিধাগ্রস্ত।
তিনি বলেন, একদিকে বিএনপি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে অংশগ্রহণ করেনি, অন্যদিকে সংসদে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এ ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের কল্যাণ করার সক্ষমতা রাখে না; এটা প্রমাণিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় এ দেশের মানুষের ভাগ্যের যত উন্নয়ন ঘটছে, বাংলাদেশ যত উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রসর হচ্ছে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ততই হতশাগ্রস্ত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রলাপ বকছে।
তিনি বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রা আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনের যে পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মের যে মানসিকতা ও স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে তা ধারণ করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সক্ষমতা বিএনপি’র নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির জন্ম দেয় বিএনপি। বিএনপি’র গণতন্ত্রের নমুনা হলো- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার প্রস্তুত ও কারচুপির নির্বাচন, বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে নারকীয় গ্রেনেড হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের মতো ন্যাক্কারজনক পন্থা অবলম্বন। এ দেশের সাংবিধানিক রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের মানচিত্রে দগদগে ক্ষত সৃষ্টিকারী দানবীয় অপশক্তির নাম বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম নয় বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ^াসী। এ দেশের গণমাধ্যমের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক সকল প্রয়াস আওয়ামী লীগই গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে বলেই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি’র রাজনীতি শুধুমাত্র মিডিয়াতে লিপ সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে টিকে আছে। বলা চলে, গণমাধ্যমই বিএনপি’র অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে নিলর্জ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ডজন খানেক নেতা টেলিভিশনে মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অবাধ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছে। তারপরও তাদের নাকি বাক-স্বাধীনতা নেই! গণমাধ্যমের নাকি স্বাধীনতা নেই! এ থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, বিএনপি’র কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে হলো- ভিত্তিহীন ও দূরভিসন্ধিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সহায়ক ভূমিকা পালন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat