কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজবীজ চাষীদের ঋণ দেয়া হবে। পেঁয়াজবীজ উৎপাদনে স্বয়ংস্বম্পূর্ণ হতে চাষীদের ঋণের ব্যবস্থাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদেরও প্রণোদনা দেয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সদর উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে শাহিদা বেগম-এর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক বছরে সাত লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষকদেরকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। কৃষকেরা এতো ঝুঁকি নিয়ে, পরিশ্রম করে পেঁয়াজ চাষ করে, তাদের স্বার্থকে দেখতে হবে। প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম বেশি কমে গেলে আমদানি বন্ধ করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশের আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কিন্তু সমস্যা হলো পেঁয়াজ খুবই পচনশীল। দেশে এখনও পেঁয়াজের পচনরোধে কোন প্রযুক্তি নেই ও সংরক্ষণের জন্য কোন কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা যায় নি। তাই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সম্প্রসারণ ও পেঁয়াজ সংরক্ষণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
পরিদর্শনকালে কৃষি সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো: শাহজাহান কবীর, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক হযরত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শাহিদা বেগম পেঁয়াজবীজ চাষি হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে তিনি অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ সালে পেঁয়াজবীজ বিক্রি করে ৭৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছেন বলে জানান শাহিদা বেগম।