ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে। ইমরান খান তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।
অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর রোববার ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন এবং পরের দিন পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা শরীফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে অভিনন্দন জানায় এবং আমরা পাকিস্তান সরকারের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা অব্যহত রাখার জন্য উন্মুখ।’
‘যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধশালী এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানকে আমাদের উভয় দেশের স্বার্থের জন্য অপরিহার্য মনে করে।’
পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী কখনো পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, তবে প্রথম ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান। তিনি এটাকে ভালোভাবে নেননি।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া এবং নতুন নির্বাচনের ডাক দেয়াসহ সব চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট তার সমস্ত উদ্যোগকে বেআইনি ঘাষণা করে এবং পালামেন্ট বসে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে।