এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমাজের অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশের সামজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সহায়তায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। বৃহস্পতিবার এডিবি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদারে দ্বিতীয় উপ-কর্মসূচির অর্থায়নে এ ঋণ কাজে লাগানো হবে। প্রথম উপকর্মসূচির ভিত্তিতেই এ দ্বিতীয় উপ-কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং নীতিগত সংস্কার বাস্তবায়নে নেয়া প্রথম উপকর্মসূচি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এডিবির প্রধান সামাজিক খাত বিশেষজ্ঞ হিরোকো উচিমুরা-শিরোইশি বলেন, দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা এবং পরিচালনা করতে মানুষকে সহায়তা করার জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা কতোটা জরুরি কোভিড-১৯ মহামারী সেটা তুলে ধরেছে। এই উপ-কর্মসূচি বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কভারেজ এবং দক্ষতা উন্নত করতে, সুবিধাবঞ্চিতদের সক্ষমতা তৈরিতে এডিবি’র সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
এডিবি নতুন এ কর্মসূচির অধীনে সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও দক্ষতা উন্নত এবং সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের আর্থিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করতে সরকারকে সহায়তা করছে।
বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে, কিছু নির্দিষ্ট সংস্কারের মধ্যে রয়েছে সুবিধাবঞ্চিত নারী এবং শহুরে দরিদ্রদের আরও ভালো সুরক্ষার ব্যবস্থা করা। উপ কর্মসূচি ২ ডিজিটালাইজেশন এবং সিস্টেমের একীভুতকরণের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির সমন্বয়ের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড পেমেন্ট পরিষেবার মাধ্যমে মোবাইল আর্থিক পরিষেবার ব্যবহার উন্নত করে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে এর প্রসার বাড়ানো হবে।
ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকগুলো শহুরে এলাকার ভাসমান মানুষসহ শহুরে দরিদ্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আরও জোরদারে সহায়তা করে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সরকারের অর্থায়নে হয়ে থাকে এবং দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীই থাকেন এর প্রধান লক্ষ্য।
২০২১ সালের হিসাবে, ১৯৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে এডিবি’র ক্রমবর্ধমান সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঋণ, অনুদান ও সহ-অর্থায়নের মাধ্যমে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৫০টি প্রকল্পসহ বাংলাদেশে এডিবি’র সক্রিয় মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।