ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-০৬
  • ৩৮১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,  বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভূক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করছে সরকার। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছে। 
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সাথে হাসপাতালে ফি নির্ধারণী সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, “দেশের বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না।” 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটাগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ, বি, সি, ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ওই হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। যে হাসপাতালে সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই সে হাসপাতাল ওই চিকিৎসা দেয়া মানেই রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা।’ 
এর আগে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় মানোন্নয়নে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 
সভায় স্কুল-কলেজের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেবার কথা বলেন তিনি। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাইমারী হেলথ কেয়ার গাইড তৈরি করা হয়েছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যত্রতত্র এবং অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন। কোনোরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকাই বেশি থাকবে। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়া হবে।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat