ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ডিজিটাল মহাসড়কের পথ বেয়ে বাংলদেশ যেমন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে,তেমনি পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিবে।
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে কথা বলার প্রথম শব্দ কম্পিউটার’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কম্পিউটার বীর হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ১৯৬৪ সালে ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় কম্পিউটার প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও আইপিইউ’র সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভ্-ূউপগ্রহ কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, ৪টি মোবাইল অপারেটরকে অপারেশনের সুযোগ প্রদান, ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু, দেশে বছরে ১০ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির উদ্যোগ এবং জেআরসি টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজটিকে চারাগাছে রূপান্তর করেন, যা গত ১৪ বছরে মহিরূহে রূপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে ষোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের আসনে আসীন। আর পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও আমরা নেতৃত্ব দেবো।’
মোস্তাফা জব্বার শনিবার রাতে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভিউলিশন ফর ইমার্জিং ফিউচার -২০২২’ অনুষ্ঠানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসাবে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রেক্ষাপট ও এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সফলতার চিত্র তুলে ধরে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।