ব্রেকিং নিউজ :
নদী রক্ষার বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান ফরিদা আখতারের শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে: জিকে গউছ কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডা’কে সহযোগিতা করতে চায় বিএমসিসিআই ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-১৩
  • ৪০৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে আজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
অর্থমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২২ সময়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সাপোর্ট পেয়েছি। চলতি অর্থবছরে আরও ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে মর্মে আশা করছি। গ্রিণ, রেজিলেন্স, ইনক্লুসিভ ডেভলপমেন্ট (জিআরআইডি) ডিপিসির ২৫০ মিলিয়ন করে আগামী ২ অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। ২০২৩-২৫ মেয়াদে পাইপলাইনে রয়েছে ৬.১৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব।
অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী অভিহিত করে বলেন, আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য বিশ্ব ব্যাংক হতে ১৯৭২ সাল থেকে আমরা এযাবৎ ৩৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান সহায়তা পেয়েছি, যার মধ্যে ২৬.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করা হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত সুদ ও আসল মিলে ৬.৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। বিশ্বব্যাংক ২০২৩-২৭ অর্থবছরের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) প্রস্তুত করছে।
মুস্তফা কামাল ভাইস প্রেসিডেন্টকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা,প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ডেল্টা প্ল্যানসহ অন্যান্য সরকারি মহাপরিকল্পনা, সেক্টরাল প্ল্যান এবং নীতিগুলির সাথে সিপিএফ যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন।
পরিবেশ পুনরুদ্ধার, ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলির নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি  কারিগরি সহায়তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।
আইডিএ দেশগুলির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে আইডিএ-২০ খুব সহায়ক হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৫ এর জন্য নির্ধারিত ৯৩ বিলিয়ন ডলারের আইডিএ-২০কে স্বাগত জানান। তিনি কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ উদ্ভুত পরিস্থিতি হতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের জন্য সহজ শর্তে আইডিএ তহবিল থেকে বর্ধিত সহায়তার অনুরোধ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন,অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব  শরিফা খান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং রিজিয়নাল ডিরেক্টর গুয়াংজে চেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat