অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে হাউস বিল্ডিং লোন ম্যানেজমেন্ট মডিউলের উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, গৃহ নির্মাণ ঋণের জন্য এখন যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে তাতে দেখা যায় অধিকাংশ সময়ে একজন আবেদনকারির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন বেশ করতে সময় লেগে যায়। আবেদনের অবস্থা কি বা কোন পর্যায়ে আছে সেটা জানারও কোন সুযোগ আবেদনকারীর থাকে না। ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করা হলে এই ধরনের সমস্যা দূর হবে বলে আশা করা যায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হলে আবেদনকারী সরাসরি অনলাইনে অর্থ বিভাগে আবেদন করতে পারবে এবং ব্যাংক ও মন্ত্রণালয় মিলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগ হতে সুদ ভর্তুকির মঞ্জুরী আদেশ জারি করা সম্ভব হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে সরকারি কর্মচারিদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩০ জুলাই ২০১৮ তারিখে ‘সরকারি কর্মচারিদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি কর্মচারি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারি এবং প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘সরকারি কর্মচারিদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করা হয় ৩০ জুলাই ২০১৮। ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা’ জারি করা হয় ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর। ২০২১ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা, ২০২১’ জারি হয়।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে হাউস বিল্ডিং লোন ম্যানেজমেন্ট মডিউলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. নুরুল ইসলাম এবং অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবীর।