বর্তমানে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামীন এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের পল্লী অঞ্চলের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ এর আওতাধীন গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৪১ লক্ষ। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পবিস সমুহের বিদ্যুৎ চাহিতা প্রায় ৮ হাজার ৮শত মেঘাওয়াট, যা দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৫৯ শতাংশ। মাসিক বিদ্যুৎ বিক্রয়ের পরিমান ২ হাজার ৫শত ২৮ কোটি টাকা। মোট বিদ্যুতায়িত লাইনের পরিমান ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার কিঃমিঃ , মোট উপকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ২শত ৯৮ টি , যার মোট ক্ষমতা ১৭ হাজার ৪শত ৬০ এমভিএ। বর্তমানে সিস্টেম লস ৯.০১ শতাংশ। “শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই মহতি স্বপ্ন ইতি মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীগন “আলোর ফেরিওয়ালা” হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে বিদ্যুৎ সেবা প্রদান করেছে। সচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে বাপবিবো কর্তৃক উঠান বৈঠক কার্যক্রম চালু কারা হয়েছে। এছাড়া সকল ধরনের সংযোগের ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে ৫০ কিঃওয়াট পর্যন্ত ট্রান্সফরমার সরবরাহের কারনে বহুমুখি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছানোর কারনে বর্তমান সরকারের নির্বচনী অঙ্গিকার “আমার গ্রাম আমার শহর” বাস্তবায়নের কাজ তরান্বিত ও সহজতর হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পূর্ব অখন্ড সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হিসেবে বিগত ১৪-০৪-১৯৮১ খ্রীঃ বানিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করেছ্।ে এ সমিতি কর্তৃক ডিসেম্বর ২২ খ্রীঃ পর্যন্ত ৭০৬৭ কিঃ মিঃ লাইন নির্মান করে মোট ৫,৩৩,৩৯৫ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে আবাসিক গ্রাহকের হার ৮৭.২৩ শতাংশ এবং এদের মধ্যে অধীকাংশই ৫৩.০৭ শতাংশ লাইফ লাইন কনজুমার হওয়ায় ক্রয় মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রয় এবং পল্লী এলাকার বিশাল অংশ জুড়ে বিতরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনা কারার কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনায় আর্থীক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তরফ তেকে সর্বাত্মক প্রচেস্টা অব্যাহত রয়েছে। বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে, সিস্টেম লস কমিয়ে ও বিদ্যুতের চুরি / অপচয় রোধ করে পরিচালন ব্যয়ের ঘাটতি ও মোকাবেলার জন্য সমিতির কর্মকর্তা / কর্মচারী/ বোড পরিচালক/গ্রাহক সদস্য বৃন্দকেও সম্মিলিত প্রচেস্টা গ্রহন করতে হবে।