ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-২২
  • ১৭৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সুস্থ পরিবেশে নাগরিকদের বেঁচে থাকার পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশকে সবুজে সবুজে ভরে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন,  সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের  চারা রোপণ করতে হবে এবং সবুজ অর্থনীতি নির্ভর  ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।  
মন্ত্রী আরো বলেন, বৃক্ষরোপণে ময়মনসিংহ বন বিভাগের অর্জন অসাধারণ। হাতি ও  মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনেও সফলতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। 
শাহাব উদ্দিন আজ শনিবার শেরপুর ডি.সি. উদ্যানে আয়োজিত ‘গাছ লাগিয়ে যতœ করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে 'বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩’ র উদ্বোধন ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 
এ সময় ময়মনসিংহ বন বিভাগের কর্মকান্ডের উল্লেখ করে- শাহাব উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহ বন বিভাগে ২০১৮ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৬৮ একর বাগান সৃজন করা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার পাশে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে ২৭০ কিলোমিটার বাগান সৃজনের মাধ্যমে দুই লক্ষ সত্তর হাজার বিবিধ প্রজাতি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগ নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কে সত্তর হাজার বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহ বন বিভাগে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ জেলায় মোট ২ হাজার ৬৬৫ জন উপকারভোগীকে “বিকল্প জীবিকায়নের জন্য প্রশিক্ষণ” প্রদান করেছে এবং ইতোমধ্যে ২ হাজার ১১১ জনকে সাত কোটি নয় লক্ষ আটান্ন হাজার ছয়’শ চল্লিশ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। 
তিনি আরো বলেন, এক কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ উনত্রিশ হাজার চারশ পচানব্বই টাকা ব্যয়ে মোট ১৫৬ টি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । এাড়াও ১ টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার অফিস কমপ্লেক্স, ১ টি অফিসার ডরমেটরী, ২ টি রেঞ্জ অফিস, ১ টি বিট অফিস, ৩ টি স্টাফ ব্যারাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, মানুষ-হাতি দ্বন্ধ নিরসনে ময়মনসিংহ বন বিভাগে শেরপুর জেলায় ৮ কিলোমিটার সোলার ও বায়োফেন্সিং স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে। আরও ৫০ কিলোমিটার সোলার ও বায়োফেন্সিং স্থাপনের জন্য প্রকল্প তৈরী করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শেরপুর জেলার পাহাড়ী বনাঞ্চালে বন্যহাতির অভায়ারাণ্য ও চলাচলের করিডোর ঘোষণার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে এখন পযন্ত বিরানব্বই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক, বন অধিদপ্তরের সুফল প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় ও হোসাইন মুহম্মদ নিশাদসহ স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat