ব্রেকিং নিউজ :
সাতক্ষীরায় রাসায়নিকে পাকানো চারশ’ কেজি আম জব্দ আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস দিনাজপুরে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইসতিকার নামাজ আদায় ময়মনসিংহের আলালপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুইজন নিহত সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-২৩
  • ৪৭১০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদপুর  জেলার হাইমচরে নিজের গর্ভজাত পুত্র সন্তান  মো. আরিফ হোসেনকে (২৫) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মা খুকি বেগম (৪৫) ও আসামী মো. জয়নাল গাজীকে (২৪)  মৃত্যুদন্ড এবং সহযোগী দুই আসামী ইউছুফ মোল্লা (২৭) ও মাহবুব মোল্লাকে (২৬) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ে একই সাথে প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) ফারহানা ইয়াসমিন এই রায়  ঘোষণা করেন।
হত্যার শিকার আরিফ হোসেন জেলার হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের মাছুম খান বাড়ীর মিজানুর রহমান খান  এবং মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুকি বেগমের পুত্র ।
অপর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. জয়নাল গাজী পাশবর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের গাজী বাড়ীর গণি গাজীর ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন-ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিষকাটালি গ্রামের মোল্লা বাড়ীর হোসেন মোল্লার ছেলে ইউছুফ মোল্লা ও একই গ্রামের বিল্লাল মোল্লার ছেলে মাহবুব মোল্লা।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, হত্যার শিকার আরিফ হোসেন তার মা খুকি বেগমের সাথে আসামী জয়নাল গাজীর পরকিয়া সম্পর্কের কথা জানতেন। এই বিষয়ে মা ছেলের সম্পর্কের অবনতি হয়। ২০১৫ সালের শুরুতে ছেলে আরিফ হোসেন প্রেমের সম্পর্ক করে পাশবর্তী উত্তর আলগী ইউনিয়নের মিজি বাড়ীর আব্দুস সালাম মিজির মেয়ে আসমা আক্তারকে (১৯) বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে মা খুকি বেগম প্রথমে মেনে না নিলেও এক পর্যায়ে মেনে নেন। এরপর মা, ছেলে ও ছেলের বউ এর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে জগড়া বিবাদ হতো। এরই মধ্যে মা খুকি বেগম ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারই আলোকে ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর ছেলের বউ আসমাকে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেন। এরপর ১৮ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মা খুকি বেগম নিজ গৃহে পরকিয়া প্রেমিক জয়নাল গাজী ও সহযোগিদের দিয়ে আরিফকে ঘুমন্ত অবস্থায় হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে এবং ব্লেড দিয়ে পোছ মেরে মৃত্যু হয়েছে মনে করে ঘরের মেঝেতে ফেলে চলে যায়। পরদিন ১৯ নভেম্বর সকালে খুকি বেগম আরিফের স্ত্রী আসমাকে ফোন করে জানায় ডাকাতরা আরিফকে জখম করে ফেলে গিয়েছে। আসমা তাৎক্ষনিক স্বামীর বাড়িতে চলে আসে এবং আরিফকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মতলব ফেরিঘাটে পার হওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে আরিফের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ওইদিনই আসমা শ্বাশুড়ী খুকি বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় হাইমচর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুর মিয়াকে। তিনি মামলাটি দীর্ঘ এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) বদিউজ্জামান কিরন জানান, এটি একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। মায়ের পরকিয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটে। মামলাটি দীর্ঘ ৭ বছরের অধিক সময় চলাকালীন সময়ে আদালত ২০জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেয়া হয়েছে। আসামীদের মধ্যে ইউছুফ মোল্লা প্রথম থেকে পলাতক। বাকীরা জামিনে থাকলেও রায়ের সময়ে সকল আসামীর অনুপস্থিতিতে রায় হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জয়নাল আবেদীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat