ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য ২ বছরের কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কেউ কোনো সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করলে বা প্রতিস্থাপন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। বিসিক-নিযুক্ত ডেভেলপার বা ঠিকাদারের কোনো কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে শাস্তি একই হবে। অবৈধ জমি দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের শাস্তিও একই হবে। কেউ বেআইনিভাবে কোনো প্লট হস্তান্তর করলে ১ বছরের কারাদন্ড (সর্বোচ্চ) বা ৫০ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ) অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
প্রস্তাবিত বিলটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭ এর প্রতিস্থাপন করবে।
বর্তমান আইন, ১৯৫৭ পুরনো হওয়ায় প্রস্তাবিত আইনটি নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে।
বিলে বলা হয়েছে, শিল্প খাতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে এবং তাদের সুরক্ষা দিতে কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
আইন অনুযায়ী কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৩ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত হবে ২৬৩৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
কর্পোরেশনের জন্য একটি ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ থাকবে এবং সংস্থার চেয়ারম্যান সভাপতি হবেন। কর্পোরেশনের ১০ জন পরিচালক থাকবেন এবং সরকার সমস্ত পরিচালক নিয়োগ করবে।