বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে উদ্যোক্তা বিকাশের উপর শনিবার ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে এন্ট্রেপ্রেনার্স অর্গানাইজেশনের (ইও) প্রতিষ্ঠাতা এবং স্কেলিং আপ-এর সিইও ভার্ন হার্নিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সেশন পরিচালনা করেন।
ইও বাংলাদেশের লার্নিং প্রোগ্রাম রাজধানীর শেরাটন হোটেলে স্কেলিং আপ সেশনের আয়োজন করে। এতে প্রায় ২০০ তরুণ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে লার্নিং চেয়ার ও টেক্স জিপার্স লিমিটেডের পরিচালক মুদিতা ট্যান্ডন এবং ইও বাংলাদেশের প্রধান ও এএফসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বক্তব্য দেন।
ইও-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং স্কেলিং আপ-এর সিইও ভার্ন হার্নিশ বলেন, একটি সফল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সঠিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করা।
তিনি আরো বলেন, মুনাফাই যেন কেবল ব্যবসার মূল লক্ষ্য না হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও যেন কর্মকৌশলের মধ্যে থাকে।
এই লার্নিং ইভেন্টে প্রধান অংশগ্রহণকারীরা ছিল প্যারাগন গ্রুপ, অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেড, জেমকন গ্রুপ, সিটি ব্যাংক, আখতার গ্রুপ, লেকচার পাবলিকেশন্স এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। ইও বাংলাদেশ জাগো ফাউন্ডেশন থেকে এক বছরের জন্য পাঁচটি শিশুকে স্পন্সর করার জন্য ভার্ন হার্নিশকে একটি চেক উপহার দিয়েছে।
অনুষ্ঠানটিতে সমাপনী বক্তব্য দেন লার্নিং কো-চেয়ার শাওন তানভীর। ইউনাইটেড গ্রুপ এবং ইবিএল অনুষ্ঠানটির আংশিক পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
ইও বাংলাদেশের আমন্ত্রণে এন্ট্রেপ্রেনার অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা ভার্ন হার্র্নিশ ১৪ অক্টোবর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছিলেন স্কেলিং আপ এর ওয়ার্কশপ করাতে। ভার্ন হার্নিশ ৭৬টি দেশে ১৮০০০ এর বেশি উদ্যোক্তা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এন্ট্রেপ্রেনার্স অর্গানাইজেশনের (ইও) প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি স্কেলিং আপের সিইও এবং গ্রোথ ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
ইও ছোট ও বড় ব্যবসার মালিকদের একে অপরের কাছ থেকে শিখতে সহায়তা করে। এটি বৃহত্তর ব্যবসায়িক সাফল্য এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে জীবনকে একটি সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত জীবনের দিকে পরিচালিত করে।