প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ট্রাকসেল (খোলা বাজার) কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দরে প্রতিটি ডিম ১২ টাকায় বিক্রি শুরু করছে। ডিম সরাসরি খামার থেকে নিয়ে এসে ট্রাকের মাধ্যমে রাজধানীতে বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৩০টি ডিম কিনতে পারছেন।
সোমবার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবন চত্ত্বরে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক খামারিরা এখনও দেশের ৮০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করেন। অথচ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সারা দেশের ডিমের বাজারটা নিয়ন্ত্রণ করছে। ডিমের বাজার ঠিক রাখতে প্রান্তিক খামারিদের এই উদ্যোগকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগিদের দৌরাত্ব্য কমাতে খামারিদের সরাসরি ডিম বিক্রির এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।
তিনি বলেন, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বাজার অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি। প্রান্তিক খামারিদের ডিম বিক্রির এই উদ্যোগ দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণে গত আগস্ট মাসে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমের দাম উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং খুচরা বাজারে ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তিন দফায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে আমদানিকৃত ডিমের চালান দেশে পৌঁছাবে।
বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন,‘আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে সরকারি নির্ধারিত দামে ট্রাকসেলে ডিম বিক্রির অনুমতি পেয়েছি। আমরা কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। আপাতত আজ কারওয়ানবাজারে বিক্রি শুরু হলো। চলতি সপ্তাহে রাজধানীর আরও ১৯টি পয়েন্টে ডিম বিক্রি করা হবে।’
তিনি জানান, ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডিম নিয়ে প্রতিটি ট্রাক নির্ধারিত স্থানে থাকবে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ৩০টি ডিম কিনতে পারবেন।
প্রান্তিক খামারিরা রাজধানীর যেসব স্থানে ডিম বিক্রি করবে সেগুলো হলো-টিসিবি ভবনের সামনে, হাতিরপুল বাজার, শান্তিনগর বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ও কৃষি মার্কেট, শ্যামলী, বাড্ডা নতুন বাজার, সেগুনবাগিচা, সচিবালয়, উত্তর বাড্ডা বাজার, যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা, জিগাতলা ও শংকর বাসস্ট্যান্ড, মতিঝিল, উত্তরা, মিরপুর, শান্তিনগর, রামপুরা বাজার, নিউমার্কেট ও কামরাঙ্গীচর।