ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০২
  • ৫৬৫৮০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন,  জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁরাই ছিলেন জাতির অতন্দ্র কান্ডারি।
বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁর (বঙ্গবন্ধু) অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন- এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার’।
রাষ্ট্রপতি জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এসব কথা বলেন। মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁদের (জাতীয় চার নেতা) স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম আর রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ’। আর এ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাঁর আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যার পথ ধরে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের এ পথ চলা ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকায় তাঁর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা, রণনীতি ও রণকৌশল প্রণয়ন, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাঁদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির অম্লান থাকবে।
তিনি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat