• প্রকাশিত : ২০২৩-১১-১১
  • ৬৯১২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়া জেলা শহরজুড়ে সড়কের মোড়ে-মোড়ে মৌসুমী শীতেরপিঠা বিক্রির ধুম, এতেই যেনো জানান দিচ্ছে শীতের আগমনীবার্তা।
আগের মত এখন আর শীতে শহরের বাড়ি-বাড়ি শীতেরপিঠা বানানোর ধুম পড়ে না। তাই গরম-গরম ধোঁয়া ওঠা ভাঁপা পিঠার স্বাদ নিতে মানুষ যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে-মোড়ে মৌসুমি পিঠার দোকানে। এছাড়াও রিক্সাভ্যানে হাজির হচ্ছে পাড়ায়-পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান।
এই মৌসুমী পিঠার দোকানগুলোতে বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পিঠার স্বাদ নিতে মানুষ ভীঁড় জমাচ্ছে। স্বল্পআয়ের পরিবারের নারীরা এই মৌসুমে বাড়তি কিছু আয় করে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে পিঠা দোকানে পসরা সাজায়। শীতের প্রকোপ যতোই বাড়বে পিঠা বিক্রিও ততো বাড়বে জানালেন পিঠা বিক্রেতা মরিয়ম বেগম।    
মরিয়াম জানান, এই পিঠা বিক্রির টাকার লাভের অংশ পরিবারের কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা আনে। তিনি প্রায় ১০ বছর শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে থাকেন। শহরের মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারে মেয়েরা বাড়িতে পিঠা তৈরী করেন না। তারা রাস্তার মোড়ের বিক্রি হওয়া পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। শহরের বহুতল ভবনের বাসিন্দাদের রান্না ঘরে মাটি চুলা নেই, নেই খড়ি দিয়ে জ¦াল দেয়ার ব্যবস্থা। তাছাড়া পিঠা তৈরীতে অনেক ঝক্কি ঝামেলাও আছে।
রাস্তার মোড়ে-মোড়ে  শুধু ভাঁপা পিঠাই নয়। বিক্রি হচ্ছে চিতইপিঠা, কুশলীপিঠা ও ঝালপিঠাসহ নানা রকমের পিঠা।
শহরের সেউজগাড়ীর রাস্তার মোড়ে পিঠা বিক্রেতা আকলিমা খাতুন  জানান, রাস্তার পাশে থেকে চিতই পিঠা কিনে নিয়ে বাড়িতে দুধ জ¦াল দিয়ে তাতে পিঠা ছেড়ে দিলেই হয়ে যায় দুধপিঠা। ভাঁপাপিঠা  হচ্ছে  প্রতিটি ১০ টাকা, চিতইপিঠা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat