ঢাকার মাংস বিক্রেতাদের জন্য নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন

নিউজ ডেস্ক:-আসন্ন রোজা উপলক্ষে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। গরুর মাংস (দেশি) ৪৭৫, বিদেশি ও মহিষ ৪৪০, খাসি ৭২৫ এবং ভেড়া ৬২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবন সেমিনার রুমে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন এ দাম ঘোষণা করেন। এ সময় পবিত্র রোজার মাসে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ী পশুর হাটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও ঘোষণা দেন সাঈদ খোকন।তিনি বলেন, পবিত্র রোজা উপলক্ষে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাংস ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং কর্পোরেশনের প্রতিনিধি নিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ব্যবসায়ীদের মেয়র বলেন, আমি আপনাদের সমস্যা নিয়ে উত্তরের মেয়রের সঙ্গ কথা বলবো। বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি স্থায়ী হাট নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানানো হবে।সভায় দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মেয়র সাংবাদিকদেরও মতামত জানতে চান।মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, আমরা আগে পহেলা রোজা থেকে ধর্মঘটের কথা বলেছিলাম। কিন্তু রোজার পবিত্রতা রক্ষায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা করলাম।ব্যবসায়ীরা পূর্বের দাবিগুলোও পুনরায় মেয়রের কাছে তুলে ধরেন।রবিউল বলেন, আইন যথাযথ বাস্তবায়ন ও ইজারাদারদের অত্যাচার বন্ধ করতে পারলে রোজায় মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয়।সভার শুরুতে সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেহেতু ১৫ মাস আন্দোলন করে লুটেরাদের প্রতিরোধ করতে পারি নাই, সরকার চাইলে পশু পালন, টেনারি শিল্প স্থানান্তর, হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ ও প্রয়োজনে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমার বৈধ পথে পশু আমদানি করলে ৩০০ টাকায় মাংস খাওয়া হবে।সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্য সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টুসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।