ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৫-২৭
  • ৫১৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজানের আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের উপায়
জহানারা খাতুন (ফ্লোরা):–ফরজ ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জন করে। আর আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সব মানুষের জন্য কার্যকরী ফরজ ইবাদাত হলো নামাজ এবং রোজা। তাই ফরজ নামাজ এবং রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে রমজান মাসকে হিদায়াত লাভের মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তারাবি নামাজ। বরকতময় এ মাসে তারাবির নামাজ যথাযথ যত্নের মাধ্যমে আদায় করা অতিব জরুরি। সর্বোত্তম হচ্ছে এ নামাজে দণ্ডায়মানরত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত এবং শ্রবণ।পরিপূর্ণ কুরআন নাজিলের পূর্বে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক রমজান মাসে লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে নাজিল হতো তাই কুরআন মাজিদের তিলাওয়াত শ্রবণের জন্য তারাবি নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।তারাবি নামাজ ছাড়াও রমজানে অন্যান্য সময়েও তারতিলের সহিত কুরআন তিলাওয়াত করা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত। কারণ এই কুরআন তাঁর তিলাওয়াতকারীর জন্য হবে সাক্ষী ও সুপারিশকারী।রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেকটি মাধ্যম হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। হাদিসে এ নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু রমজান মাস জুড়ে সেহরি খাওয়ার জন্য প্রত্যেক মানুষকে সুবহে সাদিকের পূর্বে ওঠতে হয়; তাই সহজেই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। আর আল্লাহ তাআলা ঐ সময় দুনিয়ার আকাশে এসে মানুষকে রিযিকদান, গোনাহ মাফ, কল্যাণদান করেন।এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেকটি মাধ্যম হলো সাধ্যমতো দান-সদকা করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে অনেক বেশি দান-সদকা করতেন। তিনি বলতেন, ‘দান-সাদকায় বালা-মুসিবত দূর হয়ে কল্যাণ সাধিত হয়।’যেহেতু এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় সুতরাং উল্লেখিত নেক আমলগুলো করার পাশাপাশি গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাও প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য। পরিশেষে... রমজান মাস হচ্ছে তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনের মাস। আর তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনের জন্যই আল্লাহ তাআলা রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। হাদিস থেকে জানা যায়, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা ছাড়া রোজা পরিপূর্ণ হয় না।তাই রমজানের রহমত বরকত মাগফিরাত লাভ করতে হলে মুসলিম উম্মাহকে উপরোল্লিখিত ইবাদাত-বন্দেগির পাশাপাশি সকল প্রকার গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সর্বাত্মক চেষ্টা করা। তবেই আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাঁর বান্দাহকে তাকওয়া ও পরহেযগারীর শক্তি দান করেন। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে রমজানের সকল বিধি-নিষেধ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat