
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে ২৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ১৩ জন, চট্টগ্রামে আটজন ও বান্দরবানে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোররাত থেকে অভিযান চালিয়ে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। এ অভিযান এখনো চলছে।
এ ছাড়া রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় গাছচাপা পড়ে একজন এবং কর্ণফুলী নদীতে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। চট্টগ্রামের হালিশহরে দেয়াল ধসে একজন, চাকতাইয়ে বজ্রপাতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার এটি বাংলাদেশের উপকূল ও স্থলভাগ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। অনেক স্থানে বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌযান চলাচল। রাঙামাটি প্রতিনিধি ফজলে এলাহী জানিয়েছেন, টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শহরে ১১ জন ও কাপ্তাই উপজেলায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১১টি লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন রুমা আক্তার, নুড়িয়া আক্তার, হাজেরা বেগম, সোনালী চাকমা, অমিত চাকমা, আইয়ুস মল্লিক, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস। এঁরা শহরের যুব উন্নয়ন ও ভেদভেদি এলাকায় বসবাস করতেন। রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ রশীদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা একটা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। শহরের যুব উন্নয়ন, ভেদভেদি, শিমুলতলী, রাঙাপানিসহ অনেক স্থানেই এখনো মানুষ মাটিচাপা পড়ে আছে। এদিকে, জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে উনু চিং মারমা (৩০) ও নিকি মারমা (১২) নামের দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছায়া মং মারমা। এ ছাড়া উপজেলায় গাছচাপা পড়ে আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। তিনি আরো জানান, কর্ণফুলী নদীতে ইকবাল নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।