
নিজস্ব প্রতিনিধি:-রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টাকালে পুলিশ এক মেয়ে শিশুকে (১৩) উদ্ধার করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিম আক্তার (২১) নামের এক নারীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ জানায়, শরিয়তপুর গোসাইরহাট থানা এলাকার শিশুটি অভাবের কারণে গত জানুয়ারি মাসে ঢাকার কালিগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ নেয়। এজন্য সে স্থানীয় একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। সম্প্রতি ওই বাসায় মিম মাঝেমধ্যে আসা-যাওয়া করতো। এ সুযোগে তার সাথে সখ্যতা গড়ে। এসময় শিশুটির কথা শুনে মিম ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে তার কথায় রাজি হলে মঙ্গলবার বিকেলে বাসযোগে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া হয়ে নদী পাড়ি দিয়ে তাকে দৌলতদিয়ায় আনে।এখানে স্থানীয় যৌনপল্লির প্রবেশ পথে আগে থেকে অপেক্ষামান এক নারী ব্যবসায়ীর সাথে দরদামের বিষয়টি শিশুটি বুঝে ফেলে। এসময় সে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার এক সদস্যের কাছে উদ্ধারের আকুতি জানান। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে অবগত করেন।গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে মেয়ে শিশুটির বিক্রির খবর পেয়ে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত নারী পাচারকারী সদস্য মিমকে গ্রেফতার করা হয়। মিম ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কেষ্টপুর দক্ষিণ শৈলডুবি গ্রামের শেখ জহুর উদ্দিনের মেয়ে।