ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-১৩
  • ৪২৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বিক্ষোভ আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ রবিবার দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বিক্ষোভ চলাকালীন সকাল ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল পালিত হবে। বিক্ষোভ চলাকালে ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’ সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে সংগঠনটি। গত ৮ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পর দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরে নামে সরকারি চাকরিতে অনীহা দেখানো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এত কিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ফের সোচ্চার হয় শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ এপ্রিল দ্রুত প্রজ্ঞাপন না হলে আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা আসে। পরদিন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক আলোচনায় বসেন কোটা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে। জানান, প্রথানমন্ত্রী দেশে ফিরলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে ২ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি কোটা বাতিলের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, সেটা পাল্টাবে না। এর মধ্যে ০৭ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম জানান,  কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর দিনই কর্মসূচি ঘোষণা করল ছাত্ররা। আন্দোলনকারীদের ওপর বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে আহ্বায়ক বলেন, ‘গত পরশু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আন্দোলনকারী ভাইয়ের ওপর অতি উৎসাহী কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালায়। রংপুরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় এবং আন্দোলনকারীদের ছবি তুলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। এছাড়া শনিবার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আকাশের বাড়িতে (চট্টগ্রামের বাঁশখালী) হামলা হচ্ছে।’ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat