নিজস্ব প্রতিনিধি:- রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ।
অভিযানে প্রায় এক কোটি জাল টাকার নোট ও টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। চক্রটি পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা ছাপিয়ে তা বাজারে ছাড়তো।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হানিফ, রাজন শিকদার ওরফে রাজা ওরফে রাজু, রফিক, খোকন ওরফে শাওন, জাকির, হানিফ, রাজন শিকদার ওরফে রাজা ওরফে রাজু, খোকন ওরফে শাওন, সোহরাব, জসিম, রিপন, মনির, সোহরাব, জসিম ও লাবনী।
শুক্রবার ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালনো হয়। এসময় এই চক্রের ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এক লাখ টাকা সম-মূল্যের জাল নোট তৈরিতে খরচ পড়ত দশ হাজার টাকা। পরবর্তী সময়ে তা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। পরে পাইকারি বিক্রেতারা প্রথম খুচরা বিক্রেতার কাছে ২০-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত। প্রথম খুচরা বিক্রেতা দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতার কাছ তা আবার ৪০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। সর্বশেষ দ্বিতীয় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা সমমূল্যে অর্থাৎ আসল এক লাখ টাকায় বিক্রি করত।’
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই চক্রটির মূল হোতা রফিক। তিনি জাল টাকা তৈরিতে বেশ পারদর্শী। গ্রেপ্তার হওয়া রফিক এক সময় নোয়াখালী ছগির মাস্টার নামক এক ব্যক্তির সহযোগী হিসেবে জাল টাকা তৈরি করতেন। পরে নিজেই জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম কিনে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইন বৌ-বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানেই জাল টাকা তৈরি শুরু করেন। তার অন্যতম সহযোগী রাজন, লাবনী ও অন্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কদমতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত জাকির জাল টাকার তৈরির জন্য বিশেষ ধরনের কাগজে বিভিন্ন রকমের জলছাপ এবং নকল নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করতেন।’
অভিযানে ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার, জালনোটে জলছাপ হলগ্রাম, জালটাকা তৈরির সুতাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।