নিজস্ব প্রতিনিধি:- আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত বিজয়ের খুব কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
খালিদ বলেন, দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ ও দেশের টাকা পাচারকারী, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিকে রেড কার্ড দেখিয়ে বয়কট করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির উপর আস্থা রেখেছে। খুলনা ও গাজীপুর তার প্রমাণ। দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকের বিকল্প ভাবছে না। তারা তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে দিয়েছে। রাজশাহীর জনগণকেও সারাদেশের স্রোতের সঙ্গে থাকতে হবে। নাহলে আপনি নিজেই পিছিয়ে যাবেন, উন্নয়নের স্রোত থেকে হারিয়ে যাবেন। এ ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের নির্বাচনে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হবে।
তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে খালিদ বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীরা একটু অভিমানী হয়। পাওয়া না পাওয়ার ক্ষোভ, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের মনের কথা বুঝতে পেরে আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। শক্তিশালী তৃণমূলই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি। আপনারা মনে করবেন কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন না, শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন। আপনারা বিশ্বনেত্রী, উন্নয়ন মাতা শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট চাইবেন। এই রাজশাহীতে দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে শেখ হাসিনা নৌকা তুলে দিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নৌকা তুলে দিবেন। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে, সরকারের যে উন্নয়ন বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতবে।
খালিদ বলেন, খুলনা, গাজীপুরের ছোয়া এই রাজশাহীতেও লাগবে। আমাদের জরিপে নৌকার প্রার্থীর বিপুল ভোটে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু আপনারা উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যান। সুন্দর আগামী, উন্নত দেশ ও আধুনিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে নৌকায় ভোট চান। আওয়ামী লীগ যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনই বিজয় সূচিত হয়েছে। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার- সব আমাদের ঐক্যের ফসল। মনে রাখবেন এ উন্নয়ন যাত্রা থেকে আপনি সরে গেলেন তো নিজের প্রজন্মের প্রতি দায়িত্বহীন আচরণ করলেন। সমুদ্র, স্থল সীমানা, আকাশে স্যাটেলাইট, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু- এসব তরুণ প্রজন্মের মনে দাগ কেটেছে। তারা নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।
নারীদের যে ক্ষমতায়ন প্রধানমন্ত্রী করেছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তিনি গ্লোবাল উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। গতকালও জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্বব্যাংকের প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গোপন সূত্র জানতে চেয়েছেন। নেত্রী বলেছেন, এ দেশের জনগণ তাকে এ সুযোগ দিয়েছে, তিনি সততা ও সাহসের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন। এ উন্নয়নের ধারা থেকে পিছিয়ে পড়লে ১০০ পিছিয়ে যাবে রাজশাহী। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে ছিটকে পড়বে আপনাদের প্রজন্ম। গুরুত্বপূর্ণ সময় ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করেন। আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের খুব কাছাকাছি।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। জাহাঙ্গীর কবির নানক ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান।