- প্রকাশিত : ২০১৮-০৮-৩১
- ৩৯৮ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
নিজস্ব প্রতিনিধি:- রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মাসব্যাপী ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের শিল্পী, ভাস্কর, দর্শক, সমালোচক, বিচারক, সংগ্রাহক ও তত্ত¡াবধায়কসহ আয়োজক কর্তৃপক্ষকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
সুজলা-সুফলা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। ঐতিহ্যগতভাবেই এ দেশের মানুষ শিল্প ও সংস্কৃতিমনা। এ দেশের কবি, গায়ক ও শিল্পীরা অনেকেই দীক্ষা লাভ করেছেন বাংলার অপরূপ প্রকৃতি ও উদার সাংস্কৃতিক চেতনা থেকে এবং আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন বহির্বিশ্বে। দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী এ অঞ্চলের অন্যতম মানসম্পন্ন চারুকলা, ভাস্কর্য ও স্থাপনাশিল্পের প্রদর্শনী হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৮১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ঢাকায় এবারের দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন আমাদের সংস্কৃতির পাশাপাশি এ অঞ্চলের শিল্পকলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করবে - এ প্রত্যাশা করি।
নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। বাংলাদেশের ১২৩ জন এবং ৬৭টি দেশের ২৬০ জন শিল্পী এ প্রদর্শনীতে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে, যা এশীয় অঞ্চলে চারুকলাসহ শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে। আমি আশা করি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী নবীন-প্রবীণ শিল্পীরা তাদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে শিল্পকলার সৌন্দর্য, শান্তি ও নান্দনিকতা বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন।
১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী সবার মাঝে শান্তি, আনন্দ ও ভালোবাসাবোধকে জাগ্রত করবে এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
নিজস্ব প্রতিনিধি:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মাসব্যাপী ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮’-এর ১৮তম আসর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ঐতিহ্যবাহী দেশজ সংস্কৃতির চর্চা, বিকাশ, প্রসার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখে চলেছে।
আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় নাট্যশালা ও জাতীয় চিত্রশালা প্রতিষ্ঠা করেছি, যা দেশের নাট্য ও চিত্রকলা আন্দোলনে প্রাণ সঞ্চার করেছে। এরপর আমরা সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেই। সকল উদ্যোগ আজ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের শিল্পকলা ও সংস্কৃতি উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। শিল্পকলা একাডেমি শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চর্চার প্রগতিশীল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
আমি আশা করি, ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮-তে দেশি-বিদেশি শিল্পী, শিল্পবোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য একটি বৃহৎ সম্মিলনে পরিণত হবে। দেশের সাধারণ শিল্পপ্রেমীদের সামনে শিল্পকর্ম তুলে ধরার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মধ্যে চিন্তার আদান-প্রদানের সুযোগ করে দেবে এই আয়োজন। এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি মনে করি।
আমি ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০১৮-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..