ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১০-২৩
  • ৪০৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি:মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক এনায়েত হোসেন খান খোকন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর মাঝপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আলমগীর হোসেন, রামনগর কলোনিপাড়ার জিন্নাত আলীর ছেলে মামুন হোসেন, একই গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. ওয়াসিম।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর একটি ধারায় ওই তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর করে জেল দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাকি দুই আসামির ৩ বছর করে জেল এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের খাইবর হোসেনের ছেলে কাবুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ফিরোজ আলী।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার এনায়েত হোসেন খান খোকন ইজিবাইক চালিয়ে জীবন নির্বাহ করতেন। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরের দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাড়ির সকলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে তার সন্ধান পায়নি। পরদিন সকালে সদর উপজেলার টেংরামারি গ্রামে পাকুড়তলা নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ইজিবাইকটি পাওয়া যায় না।
ওই দিন রোজিনা আখতার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা ও ছিনতাই মামলা করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম। আসামিরা খোকনকে হত্যা শেষে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় কোন আসামি বা সাক্ষীর নাম না থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আসামিদের সনাক্ত করেন। প্রথমে সেই সূত্রে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসা কুন্ডি গ্রামের আসামি ফিরোজ আলীকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করেন। আসামি দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে ওই মামলায় আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে বিচারক এই আদেশ দেন। আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আগামী সাত দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে শফিকুল আলম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এ রায় এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। খুব দ্রুত তম সময়ের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি হলো।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল আলম বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat