- প্রকাশিত : ২০১৮-১১-২৭
- ৩৮৫ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ এর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ অনুসারী। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে তিনি আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মোহাম্মদ হানিফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নীতি ও আদর্শের সাথে তিনি ছিলেন সবসময় আপোশহীন।
মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। কোন ধরনের প্রলোভন তাঁকে কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মাধ্যমে। মোহাম্মদ হানিফও তাঁর কর্মের মাধ্যমে জনগণের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
আমি মোহাম্মদ হানিফের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। বাঙালির মুক্তি-সনদ ৬-দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্বপালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই অকুতোভয় নেতা অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন মোহাম্মদ হানিফ মানবঢাল তৈরি করে আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। মস্তিষ্কসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্লিন্টার ঢুকে পড়ে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিস্কের স্প্লিন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ এদেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রোথিত থাকবেন।
আমি আশা করি, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম এ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদেরকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো নিবেদিত হয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবে।
আমি মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..