ব্রেকিং নিউজ :
স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী ভুটানের রাজাকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী কুল চেইন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নীতির বাস্তবায়ন চান শিল্প উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রত্যাহার চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৩-২৭
  • ৩৮৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ইতোপূর্বে উপনীত প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন কামনা করেছেন। আজ ঢাকায় তাঁর অফিসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় শেখ হাসিনা ‘সীমান্ত ঘটনা’ শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘৯ বছর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত এ চুক্তি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, প্রস্তাবিত এই চুক্তি বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। কারণ পানি স্বল্পতার কারণে তিস্তা তীরবর্তী মানুষকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময় এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সীমান্ত ঘটনা শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিষয়টি যথাযথভাবে দেখভাল করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইহসানুল করিম জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সকল অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের যুক্তিসঙ্গত সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মোদি আরো জানান, সীমান্ত ঘটনার ব্যাপারে গ্রাউন্ড লেবেল পর্যায়ে সহযোগিতা এর প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও ওঠে আসে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ নয়াদিল্লীর সক্রিয় ভূমিকা আশা করে। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফল্যজনকভাবে টিকা প্রদান অভিযান শুরুর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতির আওতায় বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের অন্যান্য দেশে টিকা সরবরাহের জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তিনি ১২ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা উপহার হিসেবে দেয়ার জন্যও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ খাতে সহযোগিতায় নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন, এরফলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মঙ্গলা পোর্ট ব্যাবহার করতে পারবে।
নেপাল ও ভুটানের সংগে বাংলাদেশকে সংযুক্তকরণে কয়েকটি রুটের কথা উল্লেখ করে পরস্পরের সম্ভাবনার স্বার্থে ভারত তা বিবেচনা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটর যান চলাচল চুক্তি হলে তিন দেশই লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা “মুজিবনগর-নদীয়া রোড” স্বাধীনতা সড়ক হিসেবে নামকরণে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত দিল্লী ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে “বঙ্গবন্ধু চেয়ার” প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের প্রসংশা করেন।
আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসউদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতীয় পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কুমা ধোবাল এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat