ব্রেকিং নিউজ :
ঝিনাইদহে চালের উৎপাদন ও সরবরাহ সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযান দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে তৈরি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ: নাছিম জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: শফিকুর রহমান চৌধুরী
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-১৩
  • ৫৮৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একইসাথে বাড়ছে পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা। এসব খাদ্যের যোগান অব্যাহত রাখতে হলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে হবে। 
কৃষিমন্ত্রী রোববার রাতে যশোর সার্কিট হাউজে যশোর ও খুলনা অঞ্চলের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগের বছরে যেখানে একটি ফসল হতো, সেখানে এখন সীম চাষ, অসময়ের তরমুজ, মরিচ প্রভৃতি চাষ হচ্ছে। ঘেরে মাছ চাষের সাথে এসব ফসলের চাষ-এটিই কৃষির অভাবনীয় সাফল্য। ড. রাজ্জাক আরও বলেন, কৃষিতে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (প্রিসিসন এগ্রিকালচার) ও রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী দিনের খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কাজ করবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
সভায় কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে সমস্যা, সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। উঠে আসে ভবদহের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যার কথাও। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিএডিসির উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, গতবছর বিএডিসি পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশনের কাজ করেছে। এর ফলে মানুষের বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে পারেনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকালে কৃষিমন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কামারালী ও বাকরা গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মাত্র ২৭ টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করছে জানিয়ে কৃষকেরা এসময় আরও কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, টমেটোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া, পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে টমেটোসহ শাকসবজি ফলমূলের সংরক্ষণকাল বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।  
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, সাতক্ষীরায় এ বছর ৮৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। এটিকে ৭০০ হেক্টরে উন্নীত করা হবে। এজন্য কৃষকদেরকে বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের হিসাবে, সাতক্ষীরায় এ বছর ৮৪ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। বারি হাইব্রিড-৪ ও বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটো চাষে যুক্ত আছেন ৫০০ কৃষক ও ১৫০০ শ্রমিক। গাছ থেকে ২-৩ বার টমেটো তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন ৬২-৭০ টন। আর প্রতি বিঘায় কৃষকের নীট লাভ হয় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে বীজ, চারা, বালাইনাশক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।  এসময় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat