ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা ২৫ এপ্রিল, মেলা ৩ দিন নাটোরে তথ্য অফিসের উদ্যোগে মহিলা সমাবেশ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বগুড়ায় শ্রমজীবীদের মাঝে চারা বিতরণ জয়পুরহাটে তীব্র তাপদাহ : হাসপাতালে বাড়ছে রোগী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন: প্রধানমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ আনু মুহাম্মদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডিসের লার্ভা পেলে জেল ও জরিমানা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৯-২৮
  • ৩৬২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে আজকের অবস্থায়  উঠে এসেছেন। তিনি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব নেতার কাতারে পৌঁছেছেন। 
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে উঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব নেতার কাতারে পৌঁছেছেন। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী  নেতৃত্ব বিশ্বে প্রশংসিত।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী  ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা  বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, দেশের এতো উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালো আছে। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালী আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন  সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সভাপতিমন্ডরীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে হবে। বিএনপি সিরিজ সভা করছে। তারা নাকি আন্দোলন করবে! দেশের মধ্যে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আগামী নির্বাচনে আরও আধুনিক স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই জানিয়ে দলের সাধারন সম্পাদক বলেন, এজন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগীদেরই জায়গা করে দিতে হবে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীদের শপথ নিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল বিএনপি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে এই গণতন্ত্রকে নিয়ে তামাশা করছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে  কেন সংসদে আসেনি, এটা কোন গণতন্ত্র?।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারা বজায়  রাখতে অব্যাহতভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। উন্নয়ন অর্জনে এবং সংগ্রাম- সংকট মোকাবেলায় দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রয়োজন। শেখ হাসিনা হাসলে বাংলাদেশ হাসে, আর বাংলাদেশ যখন ঘুমায় শেখ হাসিনা তখন জেগে থাকেন। 
 তিনি বলেন, পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ এসডিজি অগ্রগতি পদক দিয়েছে চলতি অধিবেশনে। 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব নেতারা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন কিন্তু রাত ১২টার পরে টেলিভিশনের পর্দা গরম করা কিছু লোক এবং বিএনপি  প্রশংসা  করতে পারছে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম বিএনপি সিরিজ বৈঠক করে বলেছে সব দল নিয়ে ঐক্য করে তারা সরকারের পতন ঘটাবে। ২০১৮ সালে সব দল নিয়ে  বিএনপির ঐক্য দেখেছি। তাদের সেই ঐক্য হাওয়ায়  মিলিয়ে গিয়েছিল।
 হাছান মাহমুদ বলেন,  ১৯৮১ সালের ১৭মে দেশে ফেরার পরে শেখ হাসিনা যখন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছিলেন দলকে সংগঠিত করতে তখন নেত্রীর ওপর বারবার হামলা চালানো হয়েছিল।  বিএনপির সহযোগিতায় এবং ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। কোটালি পাড়ায় বোমা পুতে এবং চট্টগ্রামে গুলিকরে এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেস্টা করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat