ব্রেকিং নিউজ :
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আগামীকাল শিব নারায়ন দাশের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নীলফামারীতে ৩ হাজার ১৭০ জন চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ রবীন্দ্রনাথ বর্তমানে বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী নাসুম-ইমরুল নৈপুন্যে ডিপিএলে অষ্টম জয় মোহামেডানের টাঙ্গাইলে সম্প্রসারিত হয়েছে আদা ও হলুদ চাষের জমি গোপালগঞ্জে ৬ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড নড়াইলে বরেণ্য চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আর্ট ক্যাম্প চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো শুরু হচ্ছে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রকাশিত : ২০২১-১২-১৬
  • ৩৯২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনম্র শ্রদ্ধা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ সারাদেশে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সংবাদদাতাদের পাঠানো সংবাদ-
গোপালগঞ্জ : টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর : জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এতে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-আধা সরকারি, বেসরকারি দপ্তর সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্মরণীয় এই দিনটির শুভ সূচনা হয়। পরে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৫০ বার তোপধ্বনির পর শহরের ঝুমুরস্থ স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ. এম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুল প্রদীপ চাকমা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা বাগবাড়ি গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন মোনাজত করেন। এছাড়াও বাদ যোহর বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মুজিববর্ষের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরে পালিত হয়েছে বিজয় দিবস।
নীলফামারী : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০বার তোপধ্বনির পর জেলা শহরের স্বাধীনতা অম্লান স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দিদারুল আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান শাহিদ মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেস ক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। শেষে সেখানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ৮টার দিকে বড়মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার ভিটিপি, স্কাউট, বিএনসিসির কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এর আগে সকালে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ীসহ অন্যান্য স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুরে দিবসটি উপলক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধণা, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জণ শীর্ষক আলোচনা সভা, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিবর্ষের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরা : সকালে শহরের নোমানী মায়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। এ ছাড়া দিনের কর্মসূচির মধ্যে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শণী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণী, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়।
বগুড়া : দিবসটিকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে বগুড়া শহর। বসে নানা ধরনের খেলনার মেলা। রাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সুচনা হয়। ফুলবাড়িতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। বগুড়া শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে সালম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী । বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিশু চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বেলা ১২ টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক দুলাল অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্দাদের সংবর্ধনা প্রাদান করা হয়। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেনজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারন সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক। সভাায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ‘ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোত্তম ব্যবহার” শীর্ষক আলেচান সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বগুড় শহীদ খোকনশিশু পার্কে অনুষিঠতহয়।
ভোলা : জেলায় সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ভোলা পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কোস্টগার্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ভোলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এসময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও ভোলা যুগীরঘোলে বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে। সকাল সাড়ে ৮ টায় ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠনিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর বেলুন উড়িয়ে বিজয় দিবসের বর্নাঢ্য আয়োজনের আনুষ্ঠনিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী। এছাড়া কুচকাওয়াজসহ শিশু কিশোরদের ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়েছে। এদিকে বেলা ১১ টায় মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শহরের বাংলা স্কুল মাঠে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলী নেওয়াজ পলাশ প্রমুখ। পরে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে এক বিশাল আনন্দ র‌্যালি শহর প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে মিলিত হয়। এছাড়া সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। দুপুর ১ টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল, শিশু সদন, শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।
ঝালকাঠি : জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপির ও প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে সকাল সাড়ে ৮ টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। এ সময় জেলা পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, স্কাউটস ও বিএনসিসি সদস্যরা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মোঃ শাহ-আলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিনব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উৎযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ।
নড়াইল : জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রীর শপথবাক্য পাঠ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সহ-সভাপতি পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ কুন্ডু মিটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খসরুল আলম পলাশ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডুসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। পুলিশ লাইনে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানজিলা সিদ্দীকা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর প্রমুখ।
নাটোর : ৫০ বার তোপধ্বনী, স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনীর মধ্যদিয়ে দিবসটির সুচনা হয়। স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সকাল সাড়ে ৮টায় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সাজেদুর রহমান খান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান সেন্টু, বীরপ্রতিক মো. সোলায়মান প্রমুখ। জেলা কারাগার, হাসপাতাল, শিশু সদন ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে শিশু একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমী এবং সরকারি গণগ্রন্থাগার শিশুদের জন্যে রচনা, চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ শহরের কান্দিভিটুয়ায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করে। দুপুরে জেলা কার্যালয় থেকে বের করা হয় বিজয় মিছিল।
রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয় এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ জাতির পিতার ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুস্পস্তক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অঞ্জন কুমার চাকমা, চারটি বিভাগের শিক্ষার্থী, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকবৃন্দসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভোরে ৫০ বার ত্বপোধ্বণির মধ্যদিয়ে দিবসের শুরু হয়। পরে ফারকী পার্কস্থ স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা বিএনপি, জেলা জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ভোরের সাথীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ, কুচকাওয়াজ এবং ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১০০জন মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি।
মৌলভীবাজার : জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় স্মৃতিসৌধে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষর্থীরা। পরে জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
টাঙ্গাইল : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা সদরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মরণে ৫০ বার তোপধ্বনি দিয়ে দিবসের কর্মসুচি শুরু করা হয়। পরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টের সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। পরে এক মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শণ করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এদিকে টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিজয় র‌্যালি বের হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। কর্মসূচিতে অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন। বাদ যোহর বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয় এবং গোবিন্দ মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়ও পাবনা, ফেনী, দিনাজপুর, কুমিল্লা, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, নাটোর, কেরাণীগঞ্জে অনুরূপ কর্মসুচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat