প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২ শত ২৭ টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ২১ হাজার ৫ শত ৪১ টি ঘর নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। ঘর পেয়ে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো সুন্দরভাবে বাঁচার সাহস পাবে, স্বপ্ন দেখতে শিখবে। আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য, বস্ত্রের সাথে বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের একজন সাধারণ নাগরিকের সকল মৌলিক চাহিদা পূর্ণতা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচটি জেলার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্য সচিব এসব কথা বলেন। নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আজ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘মুজিববর্ষে দেশে কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না’ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশ একটি ইতিহাস করতে যাচ্ছে। আর আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও একতার মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সফলভাবে শেষ করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
মুখ্য সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্বপ্ন বুনেছিলেন ১৯৭২ সালে। এ ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। তিনি তাঁর মেধা, শ্রম ও দক্ষতাকে ব্যবহার করে আমাদেরকে সাথে নিয়ে জনগণের কল্যাণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সর্বোপরি বিশে^র ইতিহাসে নতুন একটি ইতিহাস রচনা করে চলেছেন।
তিনি সিভিল সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। আপনারা চাকরি নিয়েছেন শুধু টাকার জন্য নয়। পাশাপাশি, সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে সকলকে আবেগ দিয়ে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব হোসেন। চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।