ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৩-০২
  • ৭৫৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমান। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে জিহাদী বই, ২টি মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত থানার খিলক্ষেত বাজার মসজিদে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সফরসঙ্গীদের হত্যার উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ সভামঞ্চের পাশে মাটির নিচে একটি ৪০ কেজি ওজনের বোমা এবং হেলিপ্যাডের পাশে একটি ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমান মুফতি হান্নানের সাথে বোমা পুঁতে রাখার দায়িত্বে ছিল। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে বোমা দু’টি উদ্ধারের পর আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আজিজুল হক রানা ১৯৮৭ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরে জামিয়া আনোয়ারিয়া মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগে ভর্তি হয়। ভর্তির পর এ মাদ্রাসার ওস্তাদ ও হরকাতুল জিহাদের সক্রিয় সদস্য, মুফতি হান্নানের অনুসারী মাওলানা আমিরুল ইসলামের সংর্স্পশে আসে রানা। মাওলানা আমিরুল ইসলাম তাকে হরকাতুল জিহাদে যোগদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এ মাদ্রাসায় মুফতি হান্নান, আব্দুর রউফ, আব্দুস সালামসহ হরকাতুল জিহাদের বিভিন্ন সিনিয়র সদস্যগণের যাতায়াত ছিল এবং হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি-বি) সদস্যদের এ মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক হতো। গ্রেফতারকৃত আজিজুল হক সংগঠনে যোগদানের পর অন্য ছাত্রসহ প্রশিক্ষণ ও তালিম নেয়ার জন্য হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি ইজহারের চট্টগ্রামের লালখান মাদ্রাসায় যায় এবং তালিম গ্রহণ করে। তালিম শেষে সেখানে সে বোমা তৈরি, আত্মরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। মুফতি হান্নান সংগঠনের অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য সাহসী ও জিহাদে বিশ্বস্ত কয়েকজন লোক সংগ্রহ করার জন্য মাওলানা আমিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। মাওলানা আমিরুল ইসলাম আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমানকে নির্বাচন করেন। আমিরুল ইসলাম রানাকে একটি পত্র সহকারে গোপালগঞ্জ বিসিক এলাকায় সোনার বাংলা সাবান ও মোমবাতি তৈরির কারখানায় পাঠায়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মুফতি হান্নানের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে মাওলানা আমিরুল ইসলামের দেওয়া পত্রটি দেয়। মুফতি হান্নান তাকে সংগঠনের নিয়মকানুন সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয় এবং আজিজুল হকের নাম পরিবর্তন করে  ছদ্মনাম ‘শাহনেওয়াজ’ প্রদান করে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন,  আজিজুল হক নতুন নাম শাহনেওয়াজ পরিচয়ে আনুমানিক ১৫ দিন মোমবাতি প্যাকিং এর কাজ করে। আজিজুল হক বিশ্বস্ততা অর্জন করলে কারখানার পিছনে একটি কক্ষে গোপন বৈঠকে উপস্থিত থাকার অনুমতি পায়। কারখানায় মোমবাতি ও সাবান তৈরির আড়ালে বোমা তৈরির কাজ করতো। বোমা তৈরির কাজে আজিজুল হকসহ মো. ইউসুফ ওরফে মোসহাব, মেহেদী হাসান ওরফে আ. ওয়াদুদ, ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক হোসেন, মো. মহিবুল ওরফে মফিজুর রহমান, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস প্রমুখ জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, আজিজুল হক দীর্ঘ ২১ বছর বিভিন্ন ছদ্ম-পেশার আড়ালে নিজেকে আত্মগোপনে রাখে এবং অত্যন্ত গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। সে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে টেইলারিং, মুদি দোকানদার, বই বিক্রেতা, ড্রাইভ্রার এবং সবশেষ প্রিন্টিং ও স্ট্যাম্পপ্যাড বানানোর কাজ করতো।
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. ইলিয়াস শরীফ, উপ-পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজন ইনভেস্টিগেশন বিভাগ) মো. শহিদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাহফুজুল ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ব বিভাগ)  মো. ফারুক হোসেন, উপ- পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগ), সিটিটিসি মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ইকোনমিক ক্রাইম এন্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম),  ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ইকোনমিক ক্রাইম এন্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগ) আবু তালেবসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat