ব্রেকিং নিউজ :
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটি এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল দিতে সরকার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে চীনের প্রাদেশিক কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে : মেয়র তাপস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মরিশাসের প্রতি আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্ট আদেশ মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-১০
  • ৭৩৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

অস্ত্র ও অর্থপাচার অভিযোগে করা পৃথক দুটি মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রোববার অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, মাদক ও দুদকের মামলায় গ্রেফতার থাকায় সম্রাট মুক্তি পাচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ।
এর আগে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তার তিন দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন সিআইডি। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল রোববার দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী এনামুল হক আরমানের (৫৬) সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
অপর দিকে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে বিচারাধীন।
সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন।
আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইয়ে দুইবার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে নানান গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মেলেনি সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ারের আলমের নেতৃত্বে বাহিনীটির একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat