• প্রকাশিত : ২০২২-০৬-২৫
  • ৩৫৬ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মাদকের অপব্যবহার প্রতিরোধে ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২৬ জুন ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আজ এক  বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২২’ পালনের উদ্যোগকে  তিনি স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বেই কমবেশি মাদকের অপব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। কোনো দেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা ও মাদকের অপব্যবহার বেড়ে গেলে সে দেশের নিরাপত্তা, সুশাসন, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। মাদকের অপব্যবহার ও পাচাররোধে সম্মিলিত উদ্যোগ খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, বৈশ্বিকীকরণের প্রভাব ও তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষ তথা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রায় যেমন ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তেমনি প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারীরা মাদকের উৎপাদন, বিপণন ও পাচারে তথ্যপ্রযুক্তিকে অন্যায়ভাবে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে মাদকসহ অনেক জীবননাশকারী দ্রব্য সহজেই মাদকসেবীদের হাতের নাগালে চলে আসছে। বর্তমানে যুবসমাজ ট্র্যাডিশনাল ড্রাগস গ্রহণের পরিবর্তে সিনথেটিক ড্রাগসের  দিকে ঝুঁকে পড়ছে, যা শরীরের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাকে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আশা করেন নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দেশে মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধের পাশাপাশি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে দেশের যুবসমাজ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করছে। মাদকাসক্তদের যথাযথভাবে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে  ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর ম্যানেজমেন্ট অব সাবস্ট্যান্স ইউজ ডিজওয়ার্ডার্স, বাংলাদেশ প্রণয়ন করা হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন,  দেশের যুবসমাজকে মাদকের নীল দংশন থেকে রক্ষা করতে সমাজের সকল স্তরে মাদকের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। মাদকের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্ত পারিবারিক বন্ধন সন্তানকে মাদক ও জঙ্গিবাদের কুপ্রভাব থেকে দূরে রাখে, তাকে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের  সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat